ক্যারিয়ার! প্ল্যান বি, প্ল্যান সি।
জোনায়েদ হোসেন, সহকারী কর কমিশনার, কর অঞ্চল ২, ঢাকা। | প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২০ ২০:০৮; আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২০ ০৫:৩৫
চাকরি সংক্রান্ত একটা গ্রুপে আমি জানতে চেয়েছিলাম, কাঙ্ক্ষিত চাকরি না পেলে বা চাকরি ই না পেলে আপনি কী করবেন? বেশিরভাগ বলেছে জানিনা, কেউ কেউ বলেছে ব্যবসা করবে, কয়েকজন আত্মহত্যা করবে পর্যন্ত বলেছে! যাইহোক, এটা নিয়ে পরে লিখবো।
এখন আমি আমার কিছু আইডিয়া (চাকরির বিকল্প) পয়েন্ট আকারে লিখছি যাতে বুঝতে সুবিধা হয়...
১. প্ল্যান এ বা চাকরির জন্য ইতোমধ্যে অনেক বিনিয়োগ করেছেন। এটা কোনভাবেই হুট করে ছেড়ে দিবেন না। শেষ চেষ্টা করুন। নিয়মিত পড়ুন, সৃষ্টিকর্তার সাহায্য প্রার্থনা করুন।
২. কাঙ্ক্ষিত চাকরি না পেলেও কাছাকাছি কোন চাকরি পেয়ে থাকলে শুকরিয়া করুন। সাধ্যমতো চেষ্টা করুন, কিন্তু না হলে মনে করুন এটাই আপনার জন্য সর্বোত্তম।
প্ল্যান বি, প্ল্যান সি..
৩. চাকরি ছাড়া আপনার আগ্রহ কিসে, আপনি দক্ষ কিসে, কী করতে ভালো লাগে, কিসের চাহিদা ভবিষ্যতে ভালো থাকবে ভাবুন। ধরুন আপনি কোন একটা টেকনিক্যাল বিষয়ে মোটামুটি দক্ষ, আরেকটু প্রশিক্ষণ বা চেষ্টা আপনাকে পুরো দক্ষ করে তুলবে। সুযোগটি কাজে লাগান।
৪. পরিবার, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে বসুন মাঝে মাঝে। তাদের কোন ভালো পরামর্শ থাকলে গ্রহণ করুন। দিনশেষে তারাই আপনার পাশে থাকবে। নিজের সীমাবদ্ধতার কথা ও বাস্তবতা তাঁদের জানান।
৫. এবার সিদ্ধান্ত নিন কী করবেন। ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং, শিক্ষকতা, বিদেশে যাবেন, কৃষি খামার করবেন, একেবারে নতুন কিছু করবেন।
৬. ব্যবসা যদি ভালো লাগে তাহলে অনলাইন বা অফলাইন যেকোন ব্যবসা করতে পারেন। অনলাইন ব্যবসা দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঞ্চলের প্রসিদ্ধ জিনিস সংগ্রহ করে তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামে সরবরাহ করলে আস্তে আস্তে ভালো অবস্থান তৈরি করা সম্ভব। মনে রাখবেন অনলাইন ব্যবসায় আপনার গ্রাহকই আপনার গুডউইল এম্বাসেডর। অনলাইন বিজনেসেও শেখার আছে অনেক কিছু। নিরাপত্তা, টেকনিক্যাল বিষয়গুলো জেনে শুরু করে দিতে পারেন।
৭. ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর আকর্ষণীয় কর্মসংস্থান ক্ষেত্র। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সবচেয়ে ভুল ধারণা হলো এখানে জয়েন করলেই কাড়ি কাড়ি টাকা! আসলে তা নয়, অন্যান্য পেশার মতো এটিও খুব চ্যালেঞ্জিং। আপনাকে সারা বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে। দরকার ধৈর্য, একাগ্রতা ও শেখার আগ্রহ। আস্তে আস্তে আয় বাড়বে। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি একদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন অন্যদিকে দেশের জন্য বয়ে আনতে পারবেন গৌরব। আপনার ভালো কাজ বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা ভালো ইমেজ তৈরি করবে আর আপনার আয়ও দিন দিন বাড়বে।
৮. এছাড়া অনলাইনে ব্লগিং, ইউটিউব মনিটাইজিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ইভেন্ট প্ল্যানিং, অনলাইন ওয়েবিনারসহ আধুনিক অনেক পেশায় যুক্ত হতে পারেন। আপনারা অনেকেই জানেন ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপালের বহু নাগরিক এদেশে উচ্চ বেতনে চাকরি করছে। তারা মূলত গার্মেন্টস, আইটি ও দামি রেস্টুরেন্টে জব করে। বেশিরভাগ কারিগরি দক্ষতার কাজ। এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলে আপনিও জায়গা করে নিতে পারেন চমৎকার পারিশ্রমিকের এসব পেশায়।
এই লেখাটি আর বড় করছি না, কারণ খুব বড় লেখা আমারই পছন্দ না। পরবর্তী লেখায় ভালো কিছু আইডিয়া দিব আশাকরি। ভালো থাকুন। নিজেকে ভালোবাসুন।
বিষয়: