গারো পাহাড়ে চা চাষীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
সোহাগী আক্তার | প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:২৮; আপডেট: ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৪৮
শেরপুরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চা বাগানে পাতা চয়ন, প্রুনিং ও পোকামাকড়-রোগবালাই দমন বিষয়ে ক্ষুদ্র চা চাষীদের জ্ঞান ও পরামর্শ দেওয়ার লক্ষ্যে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দিনব্যাপী শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকাকুড়া ও শ্রীবরদী উপজেলার ঝোঁলগাঁও এলাকার চা বাগানে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত পৃথক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘গারো হিলস টি কোম্পানি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমজাদ হোসেন ফনিক্স। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সুবর্না সরকার।
এ সময় চাষিদের চা চাষ বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ দেন শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তৌফিক আহম্মদ এবং ঊর্ধবতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন। চা চাষের প্রশিক্ষণ, চারা লাগানো থেকে শুরু করে সবুজ পাতা উত্তোলন ও পক্রিয়াজাতকরণে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলেন চা বোর্ডের কর্মকর্তারা। শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী জানান, বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক ৭৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ হেক্টর জমিতে চা চাষ সম্প্রসারণের জন্য ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ সম্প্রসারণ’ নামে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতায় শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি, শ্রীবর্দী, নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলার ১৫০ হেক্টর জমিতে ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদ সম্প্রসারণ করা হবে।
তিনি আরো জানান, জামালপুর, শেরপুরসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে চা আবাদের সম্ভাব্যতা বিষয়ে ২০০৪ এবং ২০১৯ সালের পৃথক সমীক্ষায় দেখা যায়, বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৫টি জেলার ১৫টি উপজেলায় মোট ১৩ হাজার ৬৪৫ একর জমিতে চা আবাদ সম্ভব। উক্ত জমি চা আবাদের আওতায় আনা হলে বছরে এ অঞ্চল থেকে ১৬.৩৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হবে।