লকডাউন যেন শহর কেন্দ্রিক;

গ্রামাঞ্চলে করোনার সচেতনতার অভাব

জহুরুল ইসলাম জনি | প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২১ ০১:৫১; আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২১ ০২:৪৫

ছবিঃ শেরপুর ট্রিবিউন

করোনার দ্বিতীয় পর্ব শুরুর দিকে পুরো দেশজুড়ে প্রাথমিক ৭দিন নড়বড়ে লকডাউন পালিত হলেও ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল টানা ৭দিন কঠোর লকডাউনের ঘোষনা দেয় সরকার। যার জন্য বন্ধ করে দেয়া হয় বিভিন্ন কলকারখানা, ব্যাংক, ও দূরপাল্লার পরিবহন।

১৩ এপ্রিল রাত হয়ে ১৪ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত এই ৭দিনের লকডাউনকে সরকারি ছুটি ভেবে নারীর টানে বাড়ি ফিরছে ঢাকায় বসবাসকারীরা করোনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে। ১৪এপ্রিল সকাল থেকে শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়  উপজেলার শহর এলাকায় পুলিশের কঠোর অবস্থান, জরুরী পরিবহন ও মুভমেন্ট পাশ সহ ব্যক্তি ও পরিবহনের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও শহর এলাকার লিংক রোডগুলোতে জেলা ও উপজেলা পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নজরদারি। যারা প্রয়োজনের তাগিদে বাহিরে বের হয়ে উপযুক্ত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদেরকে পুলিশ বিভিন্ন মামলা ও ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছেন।

শহরাঞ্চলে লকডাউন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও গ্রামাঞ্চলে আপাদমস্তক পুরো উল্টো চিত্র, শেরপুর সদর উপজেলা ও ঝিনাইগাতীর প্রত্যন্ত গ্রাম ঘুরে দেখা যায় করোনার প্রথম ধাপে গ্রামের মানুষ সচেতন থাকলেও এবারে তাদের মাঝে কোন প্রকার সচেতনতা নেই। হাজারে দু-এক জনকে দেখা যায় মাস্ক পরিধান করতে। সামাজিক দূরত্ব মানতে তারা বড্ড উদাসীন।বাজার ঘাট আগের মতই চলছে। মাঝে মাঝে পুলিশের সচেতনতাবাহী মাইকিং শোনা গেলেও পালনে পুরোপুরি অকার্যকর।

পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এতবড় জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের পুলিশ সংখ্যা খুবই অপ্রতুল, লকডাউন কার্যকর করার ক্ষেত্রে জনসচেতনতার বিকল্প নেই,তাই যার যার দিক থেকে করোনা মোকাবেলায় আরো বেশি সচেতন হতে হবে। গ্রামাঞ্চলের কিছু দিনমজুর ও কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা দিন আনে দিন খায়, তারা একদিন কাজ না করলে খাওন বন্ধ। কৃষকরা জানায়, তাদের বুরো ধান পাকতে শুরু করছে যেকোন সময় বৃষ্টিতে তলিয়ে যেতে পারে তাই জনসচেতনতার বালাই না করে ক্ষেতে খামারে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। এমতাবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে, স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিনিধিদের করোনার ২য় ধাপ সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের বিষয়ে অবহিত করতে হবে জোরদার ভাবে নয়তো এই গ্রামাঞ্চল হয়ে উঠবে মৃত্যুপুরী।





এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top