ঝিনাইগাতিতে পৌরসভার দাবী।

আরিফুর রহমান | প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২০ ০৮:১৩; আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪ ১৩:৫৫

ঝিনাইগাতি উপজেলার মানচিত্র
ভারতের মেঘালয় রাজ্য ঘেঁষা অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি ঝিনাইগাতী উপজেলা। এটি শেরপুর জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। এ উপজেলার মোট আয়তন ২৩১ বর্গকিলোমিটার। মোট জনসংখ্যা প্রায় দুই লক্ষাধিক এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রায় ৮৬৫/বর্গকিমি । ঝিনাইগাতি উপজেলার গড় শিক্ষার হার প্রায় ৪৩.২৩% ।
 
১৯৭৫ সালে ঝিনাইগাতীকে থানাতে এবং ১৯৮৩ সালে উপজেলায় পরিণত করা হয় । এ উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। কাংশা, গৌরিপুর, ঝিনাইগাতী, ধানশাইল, নলকুরা, মালিঝিকান্দা ও হাতিবান্ধা। ঝিনাইগাতি উপজেলা অর্থনৈতিক ভাবেও অত্যন্ত সমৃদ্ধ। কিন্তু এ উপজেলাবাসীর জন্য অত্যন্ত দু:খজনক খবর হলো এ উপজেলায় কোন পৌরসভা নেই।
এই এলাকাবাসী পৌরসভার সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে শেরপুর সদর, নকলা, শ্রীবর্দী, নালিতাবাড়ি সহ ৪টি উপজেলায় পৌরসভা অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ঝিনাইগাতী উপজেলাকে এখনো উপজেলা রাখা হয়েছে।
 
ঝিনাইগাতীকে পৌরসভায় রুপান্তর করা হলে উপজেলার জনগণ যেসকল সুবিধার পাবেঃ
 
১. পৌর এলাকার নাগরিকগণের পৌরসেবা প্রদানের লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হবে ফলে   বেকারত্ব হ্রাস পাবে।
২. নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা নিশ্চিত হবে।
৩. আবাসিক, শিল্প এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য পানি সরবরাহ নিশ্চিত হবে।
৪. পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের সুব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।
৫. সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে।
৬. জনসাধারণের চলাচলের জন্য ফুটপাত, রাস্তা নির্মান হবে।
৭. যাত্রী ও মালামালের সুবিধার্থে টারমিনাল নির্মান হবে।
৮. পরিবহন ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।
৯. পথচারীদের সুবিধার জন্য যাত্রী ছাউনী, সড়ক বাতি, যানবাহনের পার্কিং স্থান এবং বাস স্টপ এর সু ব্যবস্থা হবে।
১০. নাগরিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত হবে।
১১. বাজার ও কসাইখানা স্থাপন হবে।
১২. শিক্ষা, খেলাধুলা, চিত্ত বিনোদন, আমোদ প্রমোদ এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
১৩. পৌর এলাকার সৌর্ন্দয বৃদ্ধি হবে।
১৪. সামাজিক বিভিন্ন অপরাধ সহজে নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ( পারিবারিক আদালত) থাকবে।
১৫. এছাড়াও জনগনের সুবিধার জন্য গঠিত থাকবে বিভিন্ন শাখা যেমন – অভিযোগ ও নিষ্পত্তি শাখা, ট্রেড লাইসেন্স শাখা, এসেসমেন্ট শাখা, পৌর বাজার শাখা, পূর্ত শাখা, নগর পরিকল্পনা শাখা, বিদ্যুৎ ও যান্ত্রিক শাখা ইত্যাদি।
 
উপরোক্ত সুবিধার আওতায় উপজেলা বাসীদের অন্তর্ভূক্ত করা তাদের প্রানের দাবী।  এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী বাজারের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, "শেরপুরের অনান্য উপজেলা গুলোকে পেীরসভায় রুপান্তর করলেও আমাদের ঝিনাইগাতী কে করা হয়নি যা সত্যিই দুঃখজনক,আমরা অতি শীঘ্রই আন্দোলনে যাব ঝিনাইগাতী পেীরসভার দাবীতে"।


বিষয়:



এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top