শেরপুরে অস্তিত্ব সংকটে বন্যহাতি: জান-মাল রক্ষায় তৈরি হচ্ছে অভয়াশ্রম
সোহাগী আক্তার | প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২২ ০১:৪৬; আপডেট: ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৪৮
শেরপুরের গারো পাহাড়ের তিন উপজেলার সীমান্তের মানুষ বছরের পর বছর ধরে রয়েছেন বন্য হাতির আক্রমণ–আতঙ্কে । খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসে একের পর এক মারা পড়ছে বুনো হাতি। মৃত্যুর এই মিছিল যেন থামছেই না। গত তিন মাসে গারো পাহাড়ে চারটি হাতি মারা যায়। এমনকি গত সপ্তাহেও পাহাড়ি এলাকায় বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমবারের মতো হাতি হত্যায় মামলাও করা হয়। যে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে চারজন রয়েছেন কারাগারে।
সরকার কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে বুনো হাতির মৃত্যুর তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশসচেতন ব্যক্তিরা।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় বুনো হাতির খাবারের উৎস দিন দিন কমছে। যার কারণে খাবার খুঁজতে খুঁজতে পাহাড় ছেড়ে লোকালয়ে নেমে এসে মানুষের বাধার মুখে পড়ে হাতির দল। বাধা পেয়েই তারা ফসলের মাঠ, মানুষের বসতঘরে তাণ্ডব চালায়। একপর্যায়ে হাতির দল বুনো আচরণ শুরু করে। কোনো কোনো সময় পায়ে পিষ্ট করে, কখনো শুঁড় পেঁচিয়ে তুলে আছাড় দিয়ে মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। এই প্রেক্ষাপটে টিকে থাকার লড়াইয়ে নিজেদের জান-মাল রক্ষায় বুনো হাতির ওপর হিংস্র হয়ে ওঠে মানুষ।
কিন্তু এখন হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে গারো পাহাড়ে বন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তৈরি হচ্ছে অভয়াশ্রম। হাতির অবাধ বিচরণ নিশ্চিতে সম্প্রতি শেরপুরের গারো পাহাড়ে তৈরি হচ্ছে হাতির অভয়াশ্রম। বন বিভাগ জানায় এরই মধ্যে শুরু হয়েছে জমি নির্ধারণ ও মালিকানা চিহ্নিত করার কাজ। এছাড়া কমতে থাকা বনভূমি উদ্ধারেও কাজ শুরু হয়েছে।
শ্রীবরদীর বালিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, দ্রুত কমতে থাকা বনভূমি উদ্ধার ও হাতির অবাধ বিচরণ নিশ্চিতে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ মোমিনুর রশিদ জানিয়েছেন, অভয়াশ্রমের প্রস্তাবটি পাশ হয়ে বন মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে বন বিভাগে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিষয়: বন্য হাতি গারো পাহাড়