‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী' ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা পান তিনি

শেরপুরে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা পেলেন সোহাগী

মো: হারুন অর রশিদ | প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৪:৫০; আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৪:৫১

ছবি: শেরপুর ট্রিবিউন

একজন সংগ্রামী অপ্রতিরোধ্য নারীর প্রতীকী নাম জয়িতা। নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মূর্ত প্রতীক জয়িতা। কেবল নিজের অদম্য ইচ্ছাকে সম্বল করে চরম প্রতিকূলতাকে জয় করে জয়িতারা তৃণমূল থেকে সবার অলক্ষ্যে সমাজে নিজের জন্য জায়গা করে নিয়েছেন। সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এই জয়িতাদের খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্যোগটির নাম ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’।

জয়িতাদের পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে- ১) অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ২) শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ৩) সফল জননী নারী ৪) নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন যে নারী ৫) সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখেছেন যে নারী।

পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগভিত্তিক জয়িতা বাছাই কাজটি পরিচালিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বাছাইয়ের কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। শেরপুর অঞ্চল থেকে সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য ডিভাইন হেল্পারস অব বাংলাদেশ, শেরপুর সংগঠনের সভাপতি সোহাগী আক্তারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করে শেরপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

সোহাগী আক্তারকে অনুভূতি ব্যক্ত করতে বললে তিনি বলেন, ‘যারা আমার সাথে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝেও আমার পাশে ছিলেন, সাহায্য করেছেন ও উৎসাহ যুগিয়েছেন তাদের অনুপ্রেরণায় আজকে আমার জয়িতা সম্মাননা প্রাপ্তি। আমি উৎসর্গ করতে চাই ঐ সকল নারীদের যারা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা ও সংগ্রাম করে এগিয়ে যাচ্ছে৷ আর্তমানবতার সেবাই আমাদের ধর্ম। আমি স্বপ্ন দেখি একটি সুখী সুন্দর সমাজের। আমি বিশ্বাস করি, ভালো কাজ করার জন্য প্রচুর অর্থ নয় বরং প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ও মনোবল থাকা প্রয়োজন।





এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top