শেরপুরে সড়ক নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সোহাগী আক্তার | প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২২ ০৮:৩০; আপডেট: ২০ মে ২০২৪ ০৪:৪৫

ছবি: শেরপুর ট্রিবিউন

"নগরে যানবাহনের গতিবেগ ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার" এই প্রতিশ্রুতি বাস্তায়নের লক্ষে ব্র্যাকের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শেরপুর পৌরসভায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে আজ রবিবার দিনব্যাপী ব্র্যাক রোড সেফটি প্রকল্পের উদ্যোগে শেরপুর পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া লিটন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক রোড সেফটি প্রোগ্রাম প্রধান কার্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক মোঃ মাইনুল হোসেন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার এ. কে. এম খায়রুজ্জামান, ব্রাক জেলা সমন্বয়ক ফারহানা মিল্ক, ডিভিশনাল কোর্ডিনেটর পংকজ কুমার বিশ্বাস, ফিল্ড কোর্ডিনেটর কল্পনা রানী ভৌমিকসহ উপস্থিত অন্যান্যরা।

ব্র্যাক কর্মকর্তাগণ বলেন, বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনা মহামারির মতো হচ্ছে। তা কোনো ক্রমেই থামছে না। পৌর এলাকায় আরো গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নগরে যানবাহনের গতি সীমা হোক ঘণ্টায় ৩০ কি.মি.।

এসময় বক্তারা বলেন, গত বছর জাতিসংঘ সড়ক নিরাপত্তার জন্য তার ২দশকের কর্মপরিকল্পনা ঘোষনা করে। সংস্থাটি এবছরের ৩০ জুন থেকে ১ জুলাই তার সাধারন পরিষদের অধিবেশনে এই কর্ম পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে। এই অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা অংশগ্রহন করবেন এবং সড়ক নিরাপত্তায় ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি দেবেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার প্রথমবারের মতো একটি স্বতন্ত্র সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প চুরান্ত করেছে। যারজন্য বিশ্ব ব্যাংক ইতিমধ্যে ৩৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে। একই সময়ে ব্র্যাক সরকারের কাছে জাতিসংঘ সড়ক নিরাপত্তা ২দশকের কর্মপরিকল্পনা হস্তান্তর করে। উক্ত কর্মপরিকল্পনা থেকে বেশকিছু পদক্ষেপ সরকার তার ড্রাফট রোড সেপটি স্ট্যাটিজিক একশন প্ল্যান ২০২১-২০২৪ এ অন্তর্ভূক্ত করেছে।

জাতিসংঘ এসডিজি এবং গ্লোবাল রোড সেফটি অ্যাকশন প্ল্যানে জাতিসংঘ কর্তৃক আহবায়িত ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে কমিনে আনার লক্ষে বিশ্বব্যাপী ৩শ এনজিও’র সমন্বয়ে গঠিত সড়ক নিরাপত্তার জন্য ১৬ থেকে ২২ মে কমিট টু অ্যাক্ট নামের একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে যার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় নগরে যেখানে পথচারী ও বিভিন্ন যান্ত্রিক যানবাহন, একই সড়ক ব্যবহার করে এবং আবাসিক এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন সেসব সড়কে যানবাহনের গতিসীমা সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার নির্ধারন করা হলে সড়ক দূর্ঘটনা এবং এসকল দূর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব।

ইতিমধ্যে তানজানিয়া, কানাডার টরোন্টো, লন্ডনের ব্রিস্টল, কলাম্বিয়ার রাজধানী বোগোতা তাদের সড়কে যানবাহনের গতিসীমা সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার করেছে। ফলশ্রুতিতে তানজানিয়াতে ২৬ ভাগ, টরোন্টেতে ২৮ ভাগ, ব্রিস্টলে ৪২ ভাগ এবং বোগোতাতে ৩২ ভাগ করে হতাহতের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে বিগত বছরের তুলনায়।

বাংলাদেশে সড়ক দূর্ঘটনার বিষয়ে বাস মালিক মোক্তার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৬০ লাখ গাড়ি চালক রয়েছে। তাদের মধ্যে মাত্র ১২ লাখ চারকের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে। বাকি চালকদের কোনো লাইসেন্স ও কাগজপত্র নেই। তাই বাধ্য হয়েই গাড়ির মালিকগণ গাড়ি বসিয়ে না রেখে অদক্ষ লাইসন্সেবিহীন চারকদের দিয়েই গাড়ি চালাচ্ছেন। যারফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই দেশে দূর্ঘটনারোধ করার লক্ষ্যে গাড়ির চালকদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলার আহবান জানান।





এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top