প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি : শেরপুর সরকারি কলেজে দফায় দফায় ছাত্রলীগের শোডাউন
শেরপুর ট্রিবিউন | প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২২ ০৯:৪৭; আপডেট: ২৬ মে ২০২২ ০৯:৫০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদের এক বক্তব্যের জেরে সারাদেশে ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল ও শোডাউন করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। সারা দেশের মত শেরপুরেও ছাত্রদলের প্রতি চড়াও হয়েছে ছাত্রলীগ। আজ ২৫ মে (বুধবার) শেরপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রাঙ্গণে কয়েক দফা শোডাউন করেছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
সকাল আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি জহির রায়হান, কাজী রিপন মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিদুর রহমান শাহিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল কলেজ প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম সুমন, উপ নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তানভীন, সহ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও শেরপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের নেতা আব্দুল কুদ্দুস মোয়াজ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির আকন্দসহ অন্যান্য নেতাকর্মী। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতারা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান এবং রাজপথে তাদের মোকাবেলা করার হুশিয়ারি দেন। ছাত্রদল নেতার এমন শিষ্ঠাচার বিবর্জিত বক্তব্যের কঠিন জবাব দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন।
এরপর আনুমানিক দুপুর ১২ টা নাগাদ ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপ বিক্ষোভ মিছিল ও শোডাউন করে। জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বর্ষণ কারুয়া, লালন মিয়া ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানজিদ আল প্রত্যয়ের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের বিশাল একটি মিছিল কলেজ প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সে সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাশদীদুর রহমান, নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক ফজলে রাব্বী অন্তর, উপ পরিবেশ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রিফাত, উপ আইন সম্পাদক আসলাম মিয়া, উপ আপ্যায়ণ সম্পাদক আবদুর রহমান অনিক, উপ ত্রাণ সম্পাদক রুকনুজ্জামান রুকন, উপ কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক শফিউর রহমান অলিন,জেলা ছাত্রলীগের সদস্য জাহিদ হাসান সবুজসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।
সমাবেশে বক্তারা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের প্রত্যাহার চেয়ে তাকে নিশঃর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। এরপর তারা কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে দুপুরের পর কলেজ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।